ওসাইট ক্রায়োপ্রিজারভেশন – ভবিষ্যতের জন্য ডিম সংরক্ষণ করা
একজন মহিলার জন্য তার সবচেয়ে প্রজননশীল সময় তার কুড়ির কোঠার প্রথম দিকে হয়। আজকে, প্রায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ মহিলা যারা এই প্রজনন বয়সে রয়েছেন সন্তানলাভ করেন না। এটি প্রধানত এই কারণে যে দম্পতিরা প্রধানত তাদের পেশার দিকে বেশি মনোযোগী হন বা তাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতার সম্পর্কে চিন্তিত হন। দুৰ্ভাগ্যজনকভাবে, একজন মহিলার জৈবিক ঘড়ি তার সাথে সময় রেখে চলে না, যার ফলে একাধিক সমস্যা হয় যখন তারা পরিবার করতে চান।
প্রজনন ওষুধে একটি অপেক্ষাকৃত নতুন ডেভেলপমেন্ট একজন মহিলাকে তার প্রথম প্রজনন বয়েসে তার ডিম কাইরোপ্রিজারভ বা জমিয়ে রাখতে দেয় এবং যখন ভবিষ্যতে তিনি তৈরী সেই ওসাইট (ডিম) সন্তানলাভের জন্য ব্যবহার করতে দেয়। মহিলারা তাদের ফার্টিলিটি বজায় রাখার বা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য আরও বেশিভাবে অওসাইট কাইরোপ্রিজারভেশন করছেন। আজকে, সারা বিশ্বে 3000 এর বেশি শিশু হিমায়িত ডিমের মাধ্যমে জন্মেছে।
ওসাইট কাইরোপ্রিজারভেশন কি?
ওসাইট কাইরোপ্রিজারভেশন, এছাড়াও পরিচিত ডিম হিমায়ন হিসাবে, একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি মহিলার ডিম নিষ্কাশন, হিমায়িত এবং সংরক্ষণ করা হয় পরবর্তী সময়ে ব্যবহারের জন্য। চিকিৎসার চক্রটি আইভিএফ পদ্ধতির মতই, যেখানে জরায়ুর উদ্দীপনার মাধ্যমে শুরু হয় যেখানে 10 থেকে 12 দিনের জন্য ফলিকল স্টিমুলেটিং হরমোন ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হয়।
ডিমগুলি তৈরী হয়ে গেলে তাদেরকে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয় যাকে বলে ওসাইট হার্ভেস্টিং বা “ডিম সংগ্রহ” প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াতে ডিমগুলি যোনিতে রাখা একটি সুঁচের মাধ্যমে একটি আলট্রাসাউন্ড মেশিনের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়। রোগিনীর শিরায় ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়, যার ফলে এই প্রক্রিয়াটি বেশ যন্ত্রণাহীন হয়।
সংগ্রহীত ডিমগুলি তার পরে, ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে মূল্যায়ন করা হয় এবং কায়রো-প্রটেক্টট্যান্টের মাধ্যমে হিমায়িত করা হয়। কায়রো-প্রটেক্টট্যান্টের হলো একটি দ্রবনের মিশ্রণ যা হিমায়ন পদ্ধতির সময় সুক্ষ ডিমগুলির মধ্যে আন্তঃকোষীয় বরফ জমা রোধ করে (কোষের মধ্যে বরফ জমার ফলে কোষের পর্দার ক্ষতি হতে পারে এবং কোষ ফেটে যেতে পারে।) যখন একজন রোগিনী ডিমগুলি ব্যবহার করতে তৈরী হন, তাদেরকে গলানো হয় এবং একটি ইন্ট্রা সাইটপ্লাজমিক স্পার্ম ইনজেকশন (আইসিএসআই) চক্রে একটি শুক্রাণুর দ্বারা নিষিক্ত করা হয় এবং গর্ভাবস্থা লাভ করার জন্য জরায়ুতে ভ্রূণ হিসাবে ফেরত নিয়ে যাওয়া হয়।
কাদের ডিম সংরক্ষণের কথা বিবেচনা করা উচিত?
- ওসাইট কাইরোপ্রিজারভেশন সেই মহিলাদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক যাদের ক্যান্সার ধরা পড়েছে এবং কোনো ধরণের ক্যান্সারের চিকিৎসা যেমন রেডিওথেরাপি বা কেমোথেরাপি নেবার কথা হয়েছে। যখন মহিলাটি সফলভাবে তার চিকিৎসা সমাপ্ত করেন, এই হিমায়িত ওসাইটগুলি সন্তানলাভের জন্য আইভিএফ/আইসিএসআই চিকিৎসার মাধ্যমে ব্যবহার করা যেতে পারে। যেসব রোগিণীর হিস্টেরেক্টমি বা অন্য কোনো অস্ত্রপ্রচার হয়েছে যার ফলে তার স্বাভাবিক সন্তানলাভ সম্ভব নয়, এই ওসাইটগুলি ডোনার বা সঙ্গীর শুক্রাণু ব্যবহার করে একজন সারোগেটের মাধ্যমে গর্ভাবস্থা পাবার জন্য ব্যবহার হতে পারে।
- যেসব মহিলারা অবিবাহিত বা এমন কোনো পরিস্থিতিতে রয়েছে যা সন্তানলাভের উপযুক্ত নয়, ওসাইট কাইরোপ্রিজারভেশন নির্বাচন করতে পারেন। এটি তাদের সময় পেতে দেয় এবং বেছে নিতে দেয় কখন তারা একটি পরিবার শুরু করতে চান। যাই ঘটুক না কেন, এটি গুরুত্বপূর্ণ যে একজন মহিলা তার গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলার জন্য তার ডিমগুলি হিমায়িত করার কথা এমন সময় ভাবছে যখন তার ডিমগুলি তখনও সমর্থ রয়েছে।
ডিম হিমায়ন ভবিষ্যতে সন্তানলাভের জন্য একটি বিকল্প হিসাবে ভাবা উচিত এবং একটি নিশ্চয়তা হিসাবে নয়। অনেক মহিলা যারা ডিমের হিমায়ন বেছে নেন হয়তো বাস্তবে সেগুলি ব্যবহারও করবেন না কারণ তারা স্বাভাবিকভাবে সন্তানলাভ করেন। কিন্তু, এটি অবশ্যই তাদেরকে আশা দেয় যারা আর্থিক, মনস্তাত্বিক বা শারীরিক কারণে মাতৃত্বকে বিলম্বিত করতে চান।
- Published in FERTILITY TREATMENTS
Oocyte Cryopreservation – Freezing Eggs For The Future.
The most reproductive age for a woman is in her early twenties. Today, around 40 to 50 per cent of women that fall in this reproductive age group do not have children. This is mostly due to the fact that couples are more focused on their careers or are concerned about their financial limitations. Unfortunately, a woman’s biological clock does not keep pace, resulting in a number of challenges when starting a family.
A relatively new development in reproductive medicine allows a woman to cryopreserve or freeze her eggs in her early reproductive years and use these oocytes (eggs) to have a baby when she is ready in the future. Women are increasingly opting for oocyte cryopreservation as the method to preserve or delay their fertility. Today, more than 3000 babies have been born worldwide with the use of frozen eggs.
What Is Oocyte Cryopreservation?
Oocyte cryopreservation, also known as egg freezing, is a process wherein a woman’s eggs are extracted, frozen and stored for later use. The treatment cycle is similar to that of an IVF procedure, beginning with ovarian stimulation, wherein medications that contain Follicle Stimulating Hormones are administered in the form of an injection for about 10 to 12 days.
Once the eggs are ready, they are retrieved through a procedure known as oocyte harvesting or the ‘egg retrieval’ process. During this process the eggs are removed with a needle placed through the vagina with the help of an ultrasound machine. An intravenous sedation is given to the patient, which makes the procedure quite painless.
The retrieved eggs are then, evaluated in the clinical laboratory and frozen in cryo-protectants. The cryo-protectant is a mixture of solvents that safeguard the delicate eggs from intracellular ice formation during the freezing process. (Formation of ice crystals inside the cell structure of the egg can cause damage to the membranes and rupture the cell.) When a patient is ready to use the eggs, they are thawed and fertilized with a single sperm in an Intra Cytoplasmic Sperm Injection (ICSI) cycle and transferred back to the uterus as an embryo to achieve pregnancy.
Who Should Consider Preserving Their Eggs?
- Oocyte cryopreservation can prove to be extremely beneficial for women who have been diagnosed with cancer and are scheduled for some kind of oncological treatment like radiotherapy or chemotherapy. When the woman successfully completes her treatment, these frozen oocytes can be used to have a baby with the help of IVF/ICSI treatment. For patients who have undergone hysterectomy or other surgeries that do not allow her to carry a natural pregnancy, the same oocytes can be used along with donor or partner sperm to achieve pregnancy through a surrogate.
- Women who are unmarried or are in a situation that is not conducive to childbearing, can also opt for oocyte cryopreservation. This allows them to buy time and choose when they would like to start a family. In any case, it is important that a woman considering this option freezes her eggs at a time when her eggs are still viable, in order to improve her chances of getting pregnant.
Egg freezing should be considered as an option and not a certainty for having children in the future. Many women who opt for elective freezing of eggs may never actually utilize them as they might conceive naturally. However, it certainly gives hope to those who want to postpone motherhood due to financial, psychological or physiological reasons.
- Published in FERTILITY TREATMENTS
জীবনশৈলী এবং খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন যা ৭০ শতাংশ পর্যন্ত হরমোনের ভারসাম্যহীনতা রোধ করতে পারে
হরমোন হলো আমাদের শরীরের বিশেষ রাসায়নিক সংবাদদাতা। এরা এন্ড্রোক্ৰীন গ্ল্যান্ডের মাধ্যমে তৈরী হয় এবং রক্তনালীর মাধ্যমে সমস্ত অঙ্গ এবং টিস্যুতে যায় তাদেরকে কি করতে হবে জানাতে। হরমোনের ভারসাম্যের ওপর আমাদের পরিবেশ এবং জীবনশৈলীর একটি বিশাল প্রভাব আছে।
“এন্ডোক্রিন ব্যাহতকারীরা হরমোনের কাজের অনুকরণ করে হরমোনের স্বাভাবিক কাজ পরিবর্তন করে দেয়। এটি করতে গিয়ে, তারা আপনার জনন তন্ত্র, ইমিউন এবং স্নায়বিক সিস্টেমকে প্রভাবিত করতে পারে” ডাক্তার হাসনা বলেন, যিনি ঢাকাতে নোভা আইভিএফ ফার্টিলিটি ক্লিনিকের একজন ফার্টিলিটি কনসালটেন্ট।
“বিশেষত জেনোইস্ট্রোজেন এক ধরণের এন্ডোক্রিন ব্যাহতকারী যা ইস্ট্রোজেনের অনুকরণ করে। এই জেনোইস্ট্রোজেনগুলি বায়োডিগ্রেডেবল নয় বলে তারা আপনার শরীরের চর্বি কোষে সংরক্ষিত হয়। তারা বিভিন্ন সমস্যার সাথে জড়িত যেমন স্তন, প্রস্টেট এবং টেস্টিকুলার ক্যান্সার, দ্রুত শুরু হওয়া বয়ঃসন্ধি, স্থুলতা, বন্ধ্যাত্ব, মিসক্যারেজ এবং ডায়াবেটিস” তিনি আরও জানান।
প্রজনন বয়সের মহিলাদের মধ্যে পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস) সবচেয়ে সাধারণ হরমোনের সমস্যা। বিভিন্ন কারণ যেমন জিন, অস্বাস্থ্যকর খাবার অভ্যাস, ব্যায়ামের অভাব যেন দূষণ পিসিওএস হবার পেছনে কারণ। এই মহিলাদের সমস্যা মেটাবার জন্য জীবনশৈলীর পরিবর্তন একটি প্রধান অবলম্বন এবং প্রায়শই তারা গর্ভধারণের জন্য একজন ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিয়ে থাকেন।
খুব বেশি চাপ, ঘুমের অভাব, অনিয়মিত কাজের সময় হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে। আমাদের শরীর একটি জৈবিক ঘড়ির সাথে অভ্যস্ত এবং তার সঠিক বিশ্রাম এবং যত্ন প্রয়োজন হয়।
কি ভাবে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার চিকিৎসা করা হয়?
কিছু জীবনশৈলীর পরিবর্তন যেমন একটি স্বাস্থ্যকর সুষম খ্যাদ্যাভ্যাস, আঞ্চলিক ভাবে উৎপন্ন জৈবিক খাদ্য খাওয়া, ফাস্ট ফুড এবং প্যাকেজ ফুড খাওয়া এড়ানো, যেখানে সম্ভব প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো, রাসায়নিক যুক্ত ক্রিম এবং কসমেটিক ব্যবহার এড়ানো হরমোনের ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও, যথেষ্ট এবং নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর এবং সময়মত ঘুমোনোর অভ্যাস, চাপ সামলানোর পরিকল্পনাও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- Published in FERTILITY TREATMENTS
Lifestyle and dietary changes can help prevent up to 70 percent of hormonal imbalances
Hormones are special chemical messengers in our body. They are made by the endocrine glands and travel through the bloodstream to all organs and tissues telling them what to do. Our environment and lifestyle has a huge effect on our hormonal balance.
“Endocrine disruptors alter the normal functioning of hormones by mimicking the action of hormones. In doing so, they can affect your reproductive, immune and neurological systems,” said Dr Sneha Sathe, fertility consultant at Nova IVF Fertility clinic in Mumbai.
“Xenoestrogens, in particular, are a type of endocrine disruptors that mimic oestrogen. Since these xenoestrogens are not biodegradable, they are stored in the fat cells of your body. They have been associated with several conditions including breast, prostate and testicular cancer, early onset puberty, obesity, infertility, miscarriages and diabetes,” she added.
Polycystic ovary syndrome (PCOS) is the most common hormonal disorder among women of reproductive age. Several factors like genetics, unhealthy eating habits, lack of exercise and pollution play a role in the development of PCOS. Lifestyle changes form the mainstay of management in these women and often they need to seek help from a fertility specialist for conceiving.
Too much stress, lack of sleep, irregular working hours can cause hormonal imbalance. Our body is accustomed to a biological clock and needs proper rest and care.
How To Treat Hormonal Imbalance?
Certain lifestyle changes like eating a healthy balanced diet, choosing locally grown organic foods, avoiding consumption of fast food and packaged food, reducing the use of plastic where possible, avoiding creams and cosmetics that have chemicals can help in restoring hormone balance. Also, adequate and regular exercise, healthy and timely sleep habits, stress management plans an important role.
Read more here: https://mumbaimirror.indiatimes.com/others/health-lifestyle/rebooting-your-hormones/articleshow/65157313.cms
- Published in FERTILITY TREATMENTS
ধূমপান কিভাবে পুরুষ এবং মহিলা ফার্টিলিটিকে প্রভাবিত করে
ধূমপান এবং ফার্টিলিটি
বেশির ভাগ মানুষই ধূমপানের ক্ষতিকারক স্বাস্থ্য বিপদ যেমন ক্যান্সার, এমফিসেমা, হৃদরোগের সম্পর্কে জানেন। একটি তুলনায় কম জানা তথ্য হলো ধূমপান পুরুষ এবং মহিলা প্রজনন স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে। প্রত্যেক ব্যক্তিকে এটা বুঝতে হবে যে তারা তাড়াতাড়ি বা দেরি করে যাই হোক একজন সন্তানের জন্য যখন পরিকল্পনা করছেন, ধূমপান তাদের জনন তন্ত্রের স্বাস্থ্যের সাথে অত্যন্ত আপস করতে পারে।
পুরুষ বন্ধ্যাত্বের ওপর ধূমপানের প্রভাব
পুরুষ, যারা ধূমপান করেন, সাধারণ ভাবে যারা ধূমপান করেন না তাদের চাইতে কম শুক্রাণু সংখ্যা এবং শুক্রাণু গতিশীলতা থাকে। এমন কি কিছু গবেষণা এটাও বলছে যে যেসব পুরুষ ধূমপান করেন তাদের জিনগতভাবে অস্বাভাবিক শুক্রাণু উৎপন্ন করার সম্ভাবনা বেশি। যদি মহিলা সঙ্গিনী গর্ভধারণ করেন, তাহলে সেই জিনগত ক্ষতি উন্নয়নশীল সন্তানের কাছে যাওয়ার বা গর্ভাবস্থার একটি ঝুঁকি হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
ধূমপান (অন্যের ধোঁয়া সহ) ইরেকটাইল ডিসফাংকশনের মত যৌন সমস্যা তৈরী করে, ফার্টিলিটিকে পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করে।
মহিলা বন্ধ্যাত্বের ওপর ধূমপানের প্রভাব
মহিলারা, যারা ধূমপান করেন, যারা করেন না তাদের চাইতে গর্ভবতী হতে বেশি সময় নেন। তাদের কম ইস্ট্রোজেন লেভেল থাকে যা ডিমের উন্নয়ন এবং পূর্ণতা ব্যাহত করে। এটি জানা রয়েছে যে ধূমপান ফ্যালোপিয়ান টিউব ক্ষতিগ্রস্ত করে সঠিক ডিম্বস্ফোটন রোধ করে এবং ওভারিয়ান রিজার্ভ কমিয়ে দেয়, বিশেষ করে ডিমের মান এবং সংখ্যার হিসাবে।
আইভিএফ চিকিৎসা চলছে এমন মহিলাদের ক্ষেত্রে
ধূমপান আইভিএফ চিকিৎসাধীন মহিলাদের সাফল্যের হার উল্লেখযোগ্য ভাবে কমিয়ে দেয়। এটি এই কারণে হতে পারে যে ধূমপানের ফলে রক্তনালীর সমস্যা হয় যেটি জরায়ু প্রাচীরে ভ্রূণের রোপন ব্যাহত করে। যে মহিলারা আইভিএফ চিকিৎসা নিতে চলেছেন তাই পরামর্শ দেওয়া হয় ফার্টিলিটি চিকিৎসা শুরু করার আগে ধূমপান ছেড়ে দেবার জন্য।
একটি গর্ভস্থ শিশুর উপর প্রভাব
এমন কি যদি একজন মহিলা গর্ভবতী হতে সফলও হন, ধূমপানের বাকি ক্ষতিকর প্রভাব তার সন্তানলাভের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। এই প্রভাবগুলির মধ্যে রয়েছে:
- জন্মের সময়ের কম ওজন
- প্রি ম্যাচিউর জন্ম
- প্রি-টার্ম জনিত মৃত্যু
- সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিনড্রোমের জন্য মৃত্যু
- জন্মগত ত্রূটির বর্ধিত ঝুঁকি
এএসএইচ সংস্থার গবেষণা এছাড়াও সুপারিশ করে যে ধূমপানের ফলে গর্ভস্থ শিশুর একটি সুস্থ্য জনন তন্ত্র গঠন হওয়া কমে যায় যার ফলে ভবিষ্যতে পুরুষ/মহিলা সন্তানের কম ফার্টিলিটি থাকতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ, গবেষণা দেখায় যে যেসব মহিলা গর্ভাবস্থার সময় ধূমপান করেছেন ছোট টেস্টিস এবং কম শুক্রাণুর সংখ্যা সহ পুরুষ সন্তান জন্ম দেওয়ার ঝুঁকি বেশি। যেসব বাবা মা ধূমপান করেন তাদের সন্তানদের শ্বাসকষ্ট জনিত অসুখ যেমন হাঁপানি এবং শ্বাসকষ্ট হবার সম্ভাবনা বেশি।
ধূমপান ছাড়া সহজ নয় কিন্তু একই সময়ে সেটি অসম্ভব নয়। আপনি যদি একটি সন্তানের পরিকল্পনা করছেন, তাহলে এটি শুধু পরামর্শ নয় এটি অপরিহার্য যে আপনি কম করুন এবং অবশেষে ধূমপান বন্ধ করুন। হয়তো এর জন্য আপনার দিক থেকে অনেক প্রচেষ্টা এবং শৃঙ্খলা দরকার হবে কিন্তু কোনো কিছু সেই আনন্দের সাথে তুলনা হয় না যা আপনি অনুভব করবেন যখন আপনি প্রথমবার আপনার কোলে আপনার সন্তানকে নেবেন।
- Published in FERTILITY TREATMENTS
পুরুষের বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসায় বীর্য বিশ্লেষণের গুরুত্ব
সন্তানলাভে সমস্যা বর্তমান সময়ে একটি সাধারণ সমস্যা। একটানা গর্ভপরীক্ষার নেতিবাচক ফলাফলকে আপনাদের হতাশ করতে দেবেন না। ডাক্তাররা তরুণ দম্পতি যারা তাদের কুড়িতে বা তিরিশের প্রথমে আছেন একবছরের জন্য স্বাভাবিক ভাবে চেষ্টা করতে বলেন। গর্ভাবস্থা একটি জটিল বিষয় এবং শুধুমাত্র একজন মহিলার মাসিক চক্রের ফার্টিলিটি উইন্ডোতে হয়। আপনি হয়তো একদম প্রথম চেষ্টায় গর্ভবতী নাও হতে পারেন, কিন্তু এক বছর ধরে স্বাভাবিক ভাবে চেষ্টা করার পরেও যদি আপনারা গর্ভধারণ করতে না পারেন, তাহলে সেটি একটি চিন্তার বিষয়।
বছরের পর বছর ধরে, আমরা আরও অনেক দম্পতিকে তাদের ফার্টিলিটি সমস্যা নিয়ে কথা বলতে দেখেছি। তারা সক্রিয়ভাবে তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ সাহায্য চাইছেন। এটি আর বন্ধ দরজার ওপারের বিষয় নয়। নোভা আইভিএফ ফার্টিলিটিতে, উন্নত প্রযুক্তি এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত এই শিল্পের শ্রেষ্ট ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞদের চমৎকার দিক নির্দেশনার মাধ্যমে আপনার গর্ভবস্থার সেরা সুযোগটি পান। এই ব্লগে, আমরা কিছু নির্দেশাবলী নিয়ে আলোচনা করবো যা আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে কখন আপনাদের একজন ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
বয়স ফ্যাক্টর
আপনি যদি 35 বছরের কম হন, এবং স্বাভাবিক ভাবে 12 মাসের বেশি সময় ধরে গর্ভবতী হবার চেষ্টা করছেন, এখন আপনাদের একজন ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞের সাথে দেখা করা উচিত। এশিয়ান মহিলাদের, ওভারিয়ান রিজার্ভ সাধারণত 35 বছর বয়স থেকে দ্রুত কমতে শুরু করে। বয়সের সাথে সাথে, একজন এমনিতে সুস্থ মহিলার এগ রিজার্ভ কমতে শুরু হয় এবং 40-45 বছর বয়সে সম্পূর্ণ শেষ হয়ে যায় যার ফলে মেনোপজ হয়।
যদি আপনি 35 বছরের বেশি বয়সী হন এবং ছয় মাস বা তার বেশি সময় ধরে স্বাভাবিক ভাবে গর্ভবতী হবার চেষ্টা করে আসছেন এবং ব্যর্থ হচ্ছেন, অবিলম্বে একজন ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞের কাছে যান। 35 বছরের বেশি বয়সী মহিলাদের গর্ভাবস্থার সুযোগ কম এমনকি সহায়ক প্রজনন প্রযুক্তির মাধ্যমেও, কারণ বেশি বয়সে ডিমগুলি সেরা মানে থাকে না। বয়সের সাথে সাথে, অন্যান্য জটিলতাও দেখা দেয় যার ফলে ওভারিয়ান রিজার্ভ কমে যায়।
স্বাস্থ্য ফ্যাক্টর
কিছু স্বাস্থ্যের অবস্থা রয়েছে যা মহিলাদের ফার্টিলিটি সম্ভাবনার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। মহিলাদের থাইরয়েড সমস্যা থেকে হরমোনের ভারসাম্যের সমস্যা হতে পারে। এটি জানা গেছে যে মহিলারা যারা থাইরয়েডের সমস্যায় ভোগেন তাদের বন্ধ্যাত্ব, মিসক্যারেজ, ভ্রূণের মস্তিষ্কের গঠনের অস্বাভাবিকতা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে, যদি থাইরয়েডের সমস্যা চিহ্নিত হয় এবং রোগিনী ওষুধ খান, তাহলে সেই মহিলা ফার্টিলিটি চিকিৎসার মাধ্যমে গর্ভধারণ করতে পারেন। এই চিকিৎসার প্রক্রিয়ার সময়, এটি পরামর্শ দেওয়া হয় যে আপনি আপনার ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করবেন।
মহিলারা যারা পিসিওএস বা এন্ডোমেট্রিওসিসে ভুগছেন যখন তারা গর্ভধারণের সিদ্ধান্ত নেবেন তাদের ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এন্ডোমেট্রিওসিস থেকে অস্বাস্থ্যকর শ্রোণী পরিবেশ তৈরী হয় যার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত টিউব এবং দুর্বল ডিম্বাশয় থাকে, যার ফলে স্বাভাবিক গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমে যায়।
ধরা না পড়া ফার্টিলিটি সমস্যাও আরেকটি কারণ হতে পারে একজন ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞের সাথে দেখা করার জন্য। এই ক্ষেত্রগুলিতে, যে উপসর্গগুলির দিকে নজর রাখতে হয় তা হলো, অনিয়মিত মাসিক, শ্রোণী অঞ্চলে ব্যাথা, মাসিকের অনুপস্থিতি এবং অতীতে হওয়া একাধিক মিসক্যারেজ। যদি আপনার এই রকম কোনো উপসর্গ আছে, তাহলে আর সময় নষ্ট না করে একজন ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞের সাথে দেখা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
যে মহিলারা দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন যেমন কিডনির সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ এবং ক্যান্সার, জিনগতভাবে জড়িত অবস্থা যেমন ডায়াবেটিস, আলজাইমার ডিজিজ ইত্যাদি, তাদের পরামর্শ দেওয়া হয় একটি সুস্থ গর্ভাবস্থা পাবার জন্য একটি চিকিৎসার পরিকল্পনার জন্য একজন ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করতে।
পুরুষ ফ্যাক্টর
বন্ধ্যাত্ব একা একটি মহিলার সমস্যা নয়। 40-45% সব বন্ধ্যাত্বের ক্ষেত্রে পুরুষ ফ্যাক্টর পাওয়া যায়। পুরুষদের ক্ষেত্রে, বন্ধ্যাত্ব সাধারণত দেখা যায় খারাপ শুক্রাণু ফ্যাক্টরের জন্য যা হতে পারে সংযুক্ত অবস্থা যেমন ক্যান্সার বা ক্যান্সারের চিকিৎসা, টেস্টিকুলার বা শ্রোণীর আঘাত, ভেরিকোসিল, ডায়াবেটিস, স্থূলতা ইত্যাদি কারণে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই, কোনো অন্তর্নিহিত কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। সবসময় সঠিক প্রাথমিক মূল্যায়নের অংশ হিসাবে একটি বীর্য বিশ্লেষণ করা দরকার, যাতে সেই মত পরবর্তী চিকিৎসার বিকল্প সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।
ইরেকটাইল ডিসফাংকশন এবং প্রিম্যাচিউর এজাকুলেশনের মত সমস্যাও গর্ভধারণে সমস্যা করতে পারে এবং এবং সেগুলি সাধারণত যৌন বিশেষজ্ঞ এবং মনোবিজ্ঞানীদের দ্বারা সুরাহা হয়। যে কোনো ধরণের সংক্রমণ বা যৌন সংক্রমণ (এসটিআই) অবিলম্বে চিকিৎসা করা উচিত, কারণ তারা শুক্রাণুর সংখ্যা এবং মানের ওপর প্রভাব ফেলে। যদি এই ফ্যাক্টরগুলির কোনটি আপনার বা আপনার সঙ্গীর ওপর প্রযোজ্য হয়, অবিলম্বে একজন ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ফার্টিলিটি চিকিৎসা যেমন আইভিএফ এবং আইসিএসআই পুরুষ বন্ধ্যাত্বে সাহায্য করে।
পুরুষ এবং মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব অনেক কারণে হতে পারে, তাই এটি পরামর্শ দেওয়া হয় যে কারো অপেক্ষা করা এবং ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করা উচিত নয় কারণ বয়স গর্ভবতী হবার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। এটি সময়ের বিরুদ্ধে লড়াই এবং তাই, যত তাড়াতাড়ি আপনারা ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞের কাছে যাবেন, আপনাদের পক্ষে তত ভালো।
- Published in FERTILITY TREATMENTS
কীভাবে ফেলোপিয়ান টিউবে ব্লকেজ মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব তৈরি করে?
টিউবাল ফ্যাক্টর, মহিলা রোগীদের মধ্যে ১০ শতাংশ বন্ধ্যাত্বের কারণ
শ্রীমতী শেখ (নাম পরিবর্তিত), ৩৭ বছর বয়সী, ৪ বছর আগে সেকেন্ডারি ইনফার্টিলিটিতে ভুগছিলেন, এবং ৮ বছর আগে তিনি সিজারিয়ান সেকশনে তাঁর মেয়ের জন্ম দেন। তাঁর একটি ওভারিও অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বাদ দিতে হয়। এখানে আসার আগে ১৭-১৮টি ইনট্রাউটেরিন ইনসেমিনেশন (আইইউআই) তাঁর শিরার মধ্যে দিয়ে হয়েছিল। নোভা আইভিএফ ফার্টিলিটিতে আসার পর এখানকার বিশেষজ্ঞরা দেখেন তাঁর টিউবাল সমস্যা হয়েছে যা তাঁর দ্বিতীয় প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পরে, তাঁকে ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ)-এর প্রস্তাব দেওয়া হয়। তিনি প্রথমবারেই কনসিভ করেন এবং একটি স্বাস্থ্যকর শিশুর জন্ম দেন।
নোভা আইভিএফ ফার্টিলিটিতে ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ জানিয়েছে, আমরা দেখেছি নোভা সেন্টারে যাঁরাই ফার্টিলিটির সমস্যা নিয়ে আসেন, সেই মহিলাদের ১০ শতাংশের মধ্যে ফার্টিলিটি ইস্যু রয়েছে। এই রোগীদের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। টিউবাল ফ্যাক্টর ইনফার্টিলিটির লক্ষণগুলোকে চিহ্নিত করা এত সহজ নয়। সেখানে থাকতে পারে পলিসিসটিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম (পিসিওএস) বা প্রিম্যাচিয়োর ওভারিয়ান ফেলিওর (পিওএফ), যা এমন একটি লক্ষণ যেটি একজন সতর্ক হতে পারে। সাধারণ সেখানে কোনও লক্ষণ নেই, যদি না টিউবে জলের মাত্রা বাড়তে থাকে, যেটি আবার আল্ট্রাসাউন্ডের জন্যও দরকার, যার মাধ্যমে বোঝা যাবে টিউবাল কারণ।
টিউবাল ফ্যাক্টর ইনফার্টিলিটি হল এমন একটি পরিস্থিতি, যা মহিলাদের ফেলোপিয়ান টিউব ব্লক কতরে দেয়, যা এগ এবং স্পার্মের ফার্টিলাইজেশন পদ্ধতিকে বাধা দেয়। ফেলিপিয়ান টিউব এক্ষেত্রে স্পার্মকে আটকে দেয়, অনেক ক্ষেত্রে ডিম্বাণুকেও, প্রেগনেন্সির জন্য গর্ভাশয়ে পৌঁছতে দেয় না। গর্ভাশয় ফেলোপিয়ান টিউবের সঙ্গে সংযুক্ত গর্ভাশয়ের যে কোনও একটি দিক দিয়ে। এই ব্লকেজ কখনও কখনও হতে পারে ছোট, যেখানে তারা গর্ভাশয়ে ডিম্বাণুকে নয়, স্পার্মকে পৌঁছে দিতে পারে। অনেক সময় টিউবাল পেটেন্সির পরীক্ষা করলে রোগীদের মধ্যে দেখা যায়, টিউব কাজ করছে না। পেটেন্ট নন-ফাংকশনাল টিউব নির্ণয় করা অসুবিধার। এছাড়াও অন্যান্য কারণ যেমন এন্ডোমেট্রিওসিস, যেখানে গর্ভাশয়ের বাইরে কোষের বৃদ্ধি হচ্ছে বা আগে কোনও অস্ত্রোপচার, যা সেই মহিলাটির হয়েছিল, তার ফলেও টিউবার ফ্যাক্টর ইনফার্টিলিটি হতে পারে। পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি ডিজিজ, যেখানে মহিলাদের রিপ্রোডাক্টিভ অর্গ্যান সংক্রমিত হয়ে যায়, এর ফলেও ফেলোপিয়ান টিউব ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এন্ডোমিট্রিওসিসে, টিউব সমস্ত ক্ষেত্রেই পেটেন্ট হয়, কিন্তু সেগুলি কাজ করতে পারে না টিউবো -ওভারিয়ান রিলেশনশিপের জন্য। অযাচিত গর্ভধারণ এবং অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডেইস সমাপ্তির ইতিহাসও একটি বড় কারণ হিসাবে দেখা দিচ্ছে।
বন্ধ্যাত্বের ক্ষেত্রে টিউবাল ব্লকের জন্য চিকিৎসা
দুরকম ভাবে টিউবাল ফ্যাক্টর ইনফার্টিলিটির চিকিৎসা করা যায়, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বা আইভিএফের মাধ্যমে। একজন অস্ত্রোপচারের রাস্তা বেছে নিতেই পারেন, যদি না ফেলোপিয়ান টিউব খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অস্ত্রোপচারের পরে, পরিস্থিতি বদলাতে পারে, যা পরে গর্ভধারণ করতেও সাহায্য করবে। কিন্তু, যদি টিউব খুব খারাপভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়, তাহলে ডাক্তাররা আইভিএফের জন্যই বলেন, এতে স্বাভাবিকভাবেই মহিলারা গর্ভধারণ করতে পারেন।
“বেশিরভাগ মহিলা যাঁরা টিউবাল ফ্যাক্টর ইনফার্টিলিটি নিয়ে আমাদের কাছে আসেন, তাঁদের অবস্থা ততক্ষণে খুবই গুরুতর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে আইভিএফ চিকিৎসা করতেই হয়। যদিও সমস্ত কেসই আলাদা, অস্ত্রোপচারের সুপারিশ বা আইভিএফ প্রধানত রোগীর বয়স, বন্ধ্যাত্বের বছর, কতখানি ক্ষতিগ্রস্ত এবং ব্লকের লোকেশনের ওপরই নির্ভর করে। কিন্তু আইভিএফ হল টিউবাল ফ্যাক্টর ইনফার্টিলিটির ওপর আশীর্বাদ, এমন কিছু চিকিৎসা রয়েছে যার মাধ্যমে টিউবকে বাদ দিয়েও গর্ভধারণ করা সম্ভব হয়।” জানিয়েছেন ডাক্তার।
টিউবাল ফ্যাক্টরের মাধ্যমে বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধ করা যায় পেলভিক ইনফেকশন, মিড-ট্রাইমেস্টার ইনডিউজড অ্যাবরশন না করিয়ে, কোয়াকসের গাইডেন্স, ল্যাপারোস্কোপিক এবং সময়মতো অ্যাবডোমিনাল পেলভিক সার্জারি যেমন অ্যাপেনডেকটোমিস অধীনে প্রেগনেন্সির টার্মিনেশন না করিয়ে। একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট আমাদের ইম্যুনিটি বৃদ্ধি করে এবং টিউবারকিউলোসিসের সম্ভাবনাও কম। সময়মতো চেকআপ টিউবাল ফ্যাক্টর ইনফার্টিলিটির জন্য হওয়া বিভিন্ন সমস্যাকে দূর করে। সময়মতো মেডিকেল সাহায্য ফার্টিলিটির এই সমস্যাকে দূর করবে।
- Published in FERTILITY TREATMENTS
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (পিসিওএস)
পিসিওএস কি?
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (পিসিওএস), মূলত একটি জিনগত ব্যাধি, 35 শতাংশ মহিলাদের তাদের প্রজনন বছরগুলিতে এবং 90 শতাংশের কাছাকাছি স্থুলকায়/বেশি ওজনের মহিলাদের হয়ে থাকে। পিসিওএসের প্রকোপ কম বয়সী মহিলাদের ক্ষেত্রে বাড়ছে এবং মহিলা বন্ধ্যাত্বের সম্ভবত সবচেয়ে বড় কারণ।
প্রতি মাসে, একজন মহিলার ডিম্বাশয় (ওভারি) গর্ভধারনের জন্য একটি ডিম উৎপাদন করে। ডিম্বাশয়ে অতি ক্ষুদ্র তরল-পূর্ণ থলি থাকে যাদের বলা হয় ফলিকল বা সিস্ট। ডিম যখন বাড়তে থাকে, ফলিকলগুলি তরল তৈরী করতে থাকে। যখন ডিম পরিণত হয়, ফলিকলটি ফেটে যায় এবং ডিম মুক্ত হয়। এটি তখন গর্ভনালীর (ফ্যালোপিয়ান টিউব) মধ্য দিয়ে জরায়ুতে (গর্ভ) গর্ভাধানের জন্য আসে। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ডিম্বস্ফোটন (ওভুলেশন).
পিসিওএস আক্রান্ত মহিলাদের ক্ষেত্রে, ডিম পরিণত হয় না কারণ একটি ডিমের সম্পূর্ণ পরিণত হবার জন্য প্রয়োজনীয় হরমোনগুলি শরীরে উৎপন্ন হয় না। ফলিকলগুলি বাড়তে থাকেএবং তরল জমা হতে থাকে কিন্তু ডিম্বস্ফোটন হয় না। পরিবর্তে, কিছু ফলিকল ডিম্বাশয়ে সিস্ট হিসাবে থেকে যায়।
যখন একজন যুবতী বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছায়, তার মাসিক চক্রের হিসাব রাখা খুব জরুরি, বিশেষ করে, যদি সে স্থুল বা বেশি ওজনের হয়। সতর্ক থাকার মানে হলো তার পিরিয়ডের তারিখের বিষয়ে একটি ডায়েরি রাখা এবং তার চক্র বোঝা। যদি সে নিম্নলিখিত কোনো বিচ্যুতি লক্ষ্য করে, বিপদধ্বনি বাজা উচিত।
পিসিওএসের প্রধান কারণ কি?
- একটি 28/30 দিনের চক্র অনুসরণ না করা বা অনিয়মিত মাসিক
- মাসিক রক্তের অনিয়মিত বা অপর্যাপ্ত প্রবাহ
- বছরে 12 টির কম মাসিক চক্র
এটি হতে পারে যে এদের কয়েকটি অন্য কোনো কারণে হচ্ছে কিন্তু যদি সমস্যা 6 মাসের বেশি থাকে, পিসিওএসের উপসর্গ খোঁজা জরুরি হয়। যদিও এটি টিনএজারদের ক্ষেত্রে বেশি হয়, কিন্তু একটি সম্ভাবনা থাকে যে পিসিওএস প্রাপ্তবয়স্কদেরও সন্তান জন্মের আগে বা পরে প্রভাবিত করতে পারে। এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা এবং দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যের সমস্যা রোধ করার জন্য চিকিৎসা করা একান্তই জরুরি।
পিসিওএসের সাধারণ উপসর্গ
- মুখের চুলের হঠাৎ বৃদ্ধি অর্থাৎ ঝুলপি, থুতনির নিচে এবং শরীরের চুল – বুকে, মধ্যচ্ছদা, নাভি, পিঠের নিচের অংশে।
- টাকের অ্যান্ড্রোজেনিক রূপ বা চুল কমে যাওয়া বা চুল পড়া
- গলার স্বরের পরিবর্তন বা এমন কোনো পরিবর্তন যা পুরুষ বয়ঃসন্ধির সাথে জড়িত।
- অস্বাভাবিক মাত্রার আঁচিল বা ব্রণের উপস্থিতি
পিসিওএসের চিকিৎসা
পিসিওএস আপনার শরীরকে কিভাবে প্রভাবিত করে
চিকিৎসার প্রথম ধাপ হলো হরমোনের ভারসাম্যহীনতা নিয়ন্ত্রণে আনা এবং ডিম্বস্ফোটনকে উদ্দীপনা করা। এটি ওষুধের মাধ্যমে করা হয়, সিস্টগুলিকে বার করে দেবার জন্য ওরাল কন্ট্রিসেপ্টিভ পিলের (ওসিপি) একটি সংমিশ্রণ তার পর ওরাল ওষুধের মাধ্যমে অনিয়মিত হরমোনের উৎপাদন এবং অনিয়ন্ত্রিত সুগার লেভেলের নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ওজনকে নিয়ন্ত্রণে আনা এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা, পিসিওএসের নিয়ন্ত্রণের জন্য দ্রুততম উপায় হলো ওজন কমানো।
যদিও ওসিপি একটি তাৎক্ষণিক চিকিৎসা, কিন্তু সময়ের সাথে, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা নিয়ন্ত্রণ করা দরকার নইলে এটি মহিলার জননতন্ত্রে আরও সমস্যা তৈরী করবে। ডিম্বস্ফোটনের অভাবে বন্ধ্যাত্ব হতে পারে
ভালো বিষয়টি হলো, পরিসংখ্যানগতভাবে 20% মহিলাদের, যাদের পলিসিস্টিক ওভারি আছে, ডিম্বস্ফোটন বা গর্ভধারণের সমস্যা নাও থাকতে পারে। অন্য অনেক রোগের চেয়ে আলাদা, পিসিওএস একবার চিকিৎসা শুরু হলে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ। পিসিওএসের উপসর্গগুলির আগে চিহ্নিত করতে পারা এবং ডায়েট ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ইনসুলিন প্রতিরোধের উন্নতি করা পিসিওএসের সমস্যাগুলি রোধ করতে পারে যার মধ্যে রয়েছে বন্ধ্যাত্ব এবং গর্ভাবস্থার সময়ে অন্যান্য জটিলতা।
সময়ে একজন এন্ডোক্রিনোলজিস্ট এবং একজন গাইনেকোলজিস্টকে দেখানো দুশ্চিন্তা কমাতে পারে। পিসিওএস আরও বড় স্বাস্থ্যের সমস্যা যেমন ডায়াবেটিস এবং হার্টের অসুবিধার প্রারম্ভিক সতর্কবার্তা হতে পারে যার জন্য সারা জীবন চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
- Published in FERTILITY TREATMENTS
স্বাস্থ্যকর ডায়েট, যা গর্ভধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
বিশ্বজুড়ে, ১০টি দম্পতির মধ্যে একটি দম্পতি বিভিন্ন ধরনের বন্ধ্যাত্বের সমস্যার ভোগেন। যখন বাংলাদেশের কথা আসে, সেখানে বন্ধ্যাত্বের হার ৪%। গত কয়েকটি দশক ধরে, বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসায় অগ্রগতি ঘটেছে অনেকটাই, তবে অগ্রগতির জন্য আরও অনেকটা পথ যেতে হবে। এর অর্থ, আমরা এখনও বন্ধ্যাত্বের ক্ষেত্রে এখনও হতাশ হচ্ছি এবং ্নেক ধরনের ব্যাপার রয়েছে, যা একজনের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়।
স্বাস্থ্যকর গর্ভধারণের ক্ষেত্রে বয়স থেকে লাইফস্টাইল থেকে জেনেটিক্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বিস্তারিত ডায়েট এক্ষেত্রে গর্ভধারণের একটি অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একজনের অধীনে থাকে বয়স, জেনেটিক্স, অন্যান্য চিকিৎসা সংক্রান্ত শর্ত বা যে কোনও ধরনের ডায়েট। কিন্তু এটা ছাড়াও ব্যালেন্সড ডায়েটে কোনো মেডিকেল হস্তক্ষেপ থাকলে হবে না- এটা পুরোটাই সাধারণ ভাবে হবে, যা আপনার শরীরকে গর্ভধারণে সাহায্য করবে। বলা যেতে পারে, ভালো এবং স্বাস্থ্যকর ডায়েট গর্ভধারণের ক্ষেত্রে একটি পরিপূরক কারণ। যদি বন্ধ্যাত্বের নির্ণীত হয়, তাহলে আইইউআই, আইভিএফ প্রভৃতির মতো হরমোনাল চিকিৎসাও দরকার।
গত কয়েক বছর ধরে সেরা ফার্টিলিটি ডায়েটের গুরুত্বের সচেতনতা বৃদ্ধি পেতে দেখা যাচ্ছে। যতদিন যাচ্ছে এই ক্ষেত্রে আরও গবেষণা হতে দেখা যাচ্ছে এবং আরও গবেষণাপত্রে ফার্টিলিটি বৃদ্ধির জন্য সেরা খাবারগুলিও সন্ধান করতেও দেখা যাচ্ছে। এরকমই একটা গবেষণা হল হার্ভার্ডের নার্সেস’ হেলথ স্টাডি, একটি দীর্ঘকালীন প্রজেক্ট, যা পরীক্ষা করেছে ১৮০০০ মহিলার ওপর ডায়েটের প্রভাব এবং অন্যান্য কারণ নিয়ে। এই মহিলারা হয় গর্ভবতী ছিলেন নয়তো গর্ভে ধারণের পরিকল্পনা করছিলেন। এই গবেষণার ফলাফলে দেখা গিয়েছে যখন আপনি গর্ভে ধারণের পরিকল্পনা করছেন, কোন খাবারটি এর মধ্যে যুক্ত করতে হবে এবং কোনটি এড়িয়ে যেতে হবে এবং সেই সঙ্গে এমনকিছু যা ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষ জানেন।
সাদারণ নিয়মের মধ্যে, ডায়েটের দুটি কারণ কাজ করে- পুষ্টি এবং একটি স্বাস্থ্যকর ওজন- যা গর্ভবতী হওয়ার জন্য দম্পতির মধ্যে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। মার্কিন ন্যাশনাল ফার্টিলিটি অ্যাসোসিয়েশন অনুসারে, ৩০ % বন্ধ্যাত্বের কারণ অতিরিক্ত ওজন। ১৮.৫ – ২৪.৯-এর বডি মাস ইনডেক্সকে (বিএমআই) আদর্শ হিসেবে ধরা হয়।
তাই কোনটা সেরা ডায়েট এবং সেরা খাবার, যা আপনার বন্ধ্যাত্বের সমস্যাকে দূর করতে সাহায্য করবে ?
স্লো বা কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট যেমন গোটা শস্য বা বিন সুগার বা ইনসুলিনে পরিণত হতে শরীরের দ্বারা প্রক্রিয়াজাত হতে সময় নেয়। খারাপ কার্বস, যা ইনস্ট্যান্ট সুগার (যেমন কুকিজ, হোয়াইট ব্রেড, হোয়াইট রাইস) তৈরি করে, তাকে বদল করুন স্লো কার্বসের সঙ্গে, যা গর্ভধারণে সদর্থক প্রভাব ফেলে, আবার ইনসুলিন ওভিউলেশনে বাধা সৃষ্টি করে।
ফল-সর্বস্ব ডায়েট- দেখা গিয়েছে, যে সমস্ত মহিলারা দিনে তিনবার বা তার বেশি ফল খান, তাঁরা অন্যান্যদের থেকে, যাঁরা মাসে একবার বা দুবার ফল খান, তাঁদের থেকে ১৫ দিন আগেই গর্ভবতী হতে পারেন। বন্ধ্যাত্বের হারে বেড়েছে ৮ থেকে ১২ শতাংশ- প্রায় অর্ধেক- এর কারণই হল মহিলাদের ফল কম খাওয়া।
সবুজ সবজির ডায়েটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, যা দম্পতিকে সন্তান পেতে সাহায্য করে। নন-হেম-আয়রন- যা আপনারা পান সবজি, শস্য এবং বীজ থেকে, সেটি হেম আয়রনের থেকে আরও বেশি উপকারি- মাংসে পাওয়া যায় হেম আয়রন, যা বন্ধ্যাত্বের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে।
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট– স্বাস্থ্যের জন্য সমস্ত ফ্যাট খারাপ নয়। কোনও দরকার নেই হোল মিল্কের বদলে স্কিমড মিল্ক বা চিজের বদলে লো-ফ্যাট চুজ খাওয়ার। বর্তমান গবেষণা জানাচ্ছে, আগে বিশ্বাস করা হত, মহিলারা পরিপূর্ণ ফ্যাটের দুধের প্রোডাক্ট খেলে তাঁদের গর্ভবতী হওয়ার সুযোগ বেশি থাকে।
মাল্টি ভিটামিন-সহ সাপ্লিমেন্ট– ভিটামিন হল খুবই গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কারণ, যা মহিলাকে গর্ভধারণে সাহায্য করে। একটি গবেষণা থেকে জানা যায়, যে সমস্ত মহিলা মাল্টি-ভিটামিন খান, ওভিউলেশন ডিসঅর্ডারের সম্ভাবনা ৪০ শতাংশ কমে যায়।
অ্যালকোহল, জাঙ্ক ফুড, ক্যাফিন এড়িয়ে চলুন– ডায়েট হল কী ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা এবং কী ধরনের খাবার খাওয়া তার ওপর। গর্ভধারণের ক্ষেত্রে অ্যালকোহল এবং ক্যাফিন (সুগারি সফট ড্রিঙ্ক সমেত) সমৃদ্ধ বেভেরেজ গর্ভধারণে গভীর প্রভাব ফেলে। একটি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, যে সমস্ত দম্পতি প্রায় প্রত্যেকদিন জাঙ্ক ফুড খান, তাদের দ্বিগুণ হারে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা বৃদ্ধি পায়। তাই যে ভাবে হোক, গর্ভ ধারণ করতে চাইলে এই খাবারগুলি এড়িয়ে চলুন।
একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট কঠোর অনুশীলনের সঙ্গে হওয়াটা খুব দরকার। যাঁরা গর্ভধারণ করতে চাইছেন, তাঁরা নিজেকে অ্যাক্টিভ রাখুন। রেগুলার অথচ সামান্য ব্যায়াম আপনার গর্ভাবস্থাকে মসৃণ করবে এবং শিশুর জন্মানোর সময় যন্ত্রণাও কম হবে।
- Published in FERTILITY TREATMENTS
The Healthy Diet to Improve Fertility
Globally, one in every 10 couples suffers from some form of infertility. When it comes to infertility rate in India, approximately 40% of infertility can be attributed to female factors, 40% to male factors, and 20% to unknown causes. Although over the last few decades, the science behind infertility treatment has progressed considerably, there is still a long way to go in terms of advancement. This means that we are still grappling with infertility and there are so many factors that are not under one’s control. Everything from age to lifestyle to genetics has a role to play when it comes to healthy fertility.
This is where a clearly defined diet to improve fertility plays a part. Unlike other factors such as age, genetics, other medical conditions, etc., the kind of diet one takes in is wholly under one’s control. And what’s more, following a balanced diet requires no medical intervention – it is an all-natural way to encourage your body to improve the fertility potential. Although it must be said that a good and healthy diet is only a supplementing factor in boosting fertility. If infertility is diagnosed, you need to seek treatments such as hormonal therapy, IUI, IVF, etc.
Over the last few years, awareness about the importance of finding the best fertility diet has been growing. More and more research has been done in this sphere and the best foods that promote fertility are being determined with the help of extensive studies. One such study is the Nurses’ Health Study conducted by Harvard, a long-term project that examines the effects of diet and other factors on 18,000 women who are either pregnant or trying to conceive. The results from these studies reveal which foods to include and which foods to avoid when trying to conceive and also confirms some things that were already in the public knowledge.
As an overarching general rule, two factors related to diet – nutrition and a healthy body weight – play a key role in a couple’s ability to get pregnant. According to America’s National Fertility Association, 30% infertility cases are caused by weight extremes. A Body Mass Index (BMI) of 18.5 – 24.9 is considered ideal.
So what is the best diet and the best foods you can eat to improve your fertility?
Slow or complex carbohydrates such as whole grains and beans take more time to be processed by the body to turn into sugar and insulin. Replacing bad carbs that provide instant sugar (such as cookies, white bread, white rice) with slow carbs has a positive effect on fertility as insulin is found to inhibit ovulation.
A fruit-rich diet – It was found that women who consumed fruits three times or more a day conceived half a month faster than women who had a lower intake of fruits – say once or twice a month. Similarly, the risk of infertility jumped from 8 to 12 percent – almost by half – in women with the lowest intake of fruits.
Green leafy vegetables contain a lot of iron, which is an essential factor in helping couples be more fertile. Non-heme iron – the kind that you get from vegetables, grains and seeds are more effective than heme iron – the kind found in meats, helps to increase infertility.
Healthy fats – Not all fats are bad for health. There is no need to substitute whole milk with skimmed milk, or cheese with low-fat cheese. The latest studies show that contrary to what was believed earlier, women have a higher chance of conceiving when full fat dairy products are included in their diet.
Supplement with multi-vitamins – Vitamins are some of the most important factors that can help a woman conceive. In a study, women who took multi-vitamins had 40% less chance of developing ovulation disorder.
Avoid alcohol, junk food, caffeine – A diet is as much about avoiding certain foods as it is about what foods to eat. Alcohol and beverages high in caffeine (including sugary soft drinks) have a deteriorating effect on fertility. One study showed that for couples who ate junk food on a regular basis, there was a twofold increase in the risk of infertility. So, avoid these at all costs while trying to conceive.
A healthy diet should also go hand in hand with a moderately rigorous exercise regime. Women who are trying to conceive should keep themselves active. Following a regular but moderate exercise regime throughout your pregnancy period also helps in a smoother and less painful delivery of the baby.
- Published in FERTILITY TREATMENTS
- 1
- 2